অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঠাকুরগাঁওয়ে বেপরোয়া গতির হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেলে থাকা একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। মাদ্রাসায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীর মা-বাবা।
রোববার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর বিলডাঙ্গী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন।
নিহতরা হলেন জেলার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মুথরাপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে মাসুদুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী হামিদা বেগম (৪৫) ও মেয়ে মেহের নেগার সিমি (১৪)। মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মাদরাসার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ায় মেয়ে সিমি ও স্ত্রী হামিদা বেগমকে নিয়ে মাসুদুর রহমান মথুরাপুর থেকে মোটরসাইকেলযোগে হরিহরপুরের মাদরাসাতুল হুদা আল ইসলামিয়া আল সালাফিয়্যাহ মাদ্রাসার উদ্দেশে রওনা হন। এ সময় বালিয়াডাঙ্গী থেকে ছেড়ে আসা দ্রতগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই হামিদা বেগম (৪৫) মারা যান। পরে বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিহাব মাহমুদ সুজন জানান, বাবা-মেয়েকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তারা মারা যান।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Leave a Reply